কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিনের বেলদহ গ্রামের প্রাচিন আমলের রেললাইনের পাশে।
26.1192067, 89.6677517
বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে কুড়িগ্রাম এসে ভুরুঙ্গামারী গামী লোকাল বাসে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় ভুরুঙ্গামারীতে নেমে মাত্র ২০ টাকায় পাটেশ্বরীর প্রাচীন মসজিদ দেখে যেতে পারেন। আর থাকার জন্য ভুরুঙ্গামারীর একমাত্র জেরিন আবাসিক হোটেল অথবা ডাকবাংলোয় রাত্রি যাপন করতে পারবেন। কোন ভয় নেই আপনারা মীরজুমলার মসজিদ দেখে অনেক ইতিহাস জানতে পারবেন।
মোঃ শাহিনুর আলম
উপজেলা টেকনিশিয়ান
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়
ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম।
মোবাইল-01714843999
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ মৌজায় অবস্থিত এই মসজিদ (ভূরুঙ্গামারী) প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রক্ষায় সরকারী নিয়ম থাকা সত্বেও কালের স্বাক্ষী হয়ে পাটেশ্বরীর ৪০০ বছরের মীর জুমলার মসজিদটির মুল অংশ ধ্বংস হয়ে গেলেও তার একাংশ এখনও দাড়িয়ে থাকলেও সরকারী কোন অনুদান ও সংস্কারের ব্যবস্থা না নেয়ায় যেকোন মুহুর্তে হারিয়ে যেতে পারে মসজিদের পাশের ডাকা হিসাবে খ্যাত প্রাচীন গম্বুজটি। ইতিহাসে জানা গেছে ১৬৬০ সালে মীর জুমলা আসাম আক্রমন করার সময় পাটেশ্বরী হয়ে যাবার পথে এলাকায় কোন মসজিদ না থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ মৌজায় একটি কারুকাজ সম্বলিত মসজিদ নির্মান করে আসাম অভিযানে যাবার পথে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তখন হতেই এলাকার ধর্মপ্রান মুসলমানেরা নামাজ আদায় করে আসা অবস্থায় বৃটিশ শাসনের সময়ে মসজিদ টি জঙ্গলে ঢাকা পড়ে দীর্ঘদিন অন্তরীন হয়ে পড়ে। এদিকে মসজিদের পাশেই একটি ডাহার মঠ যেখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডাহার মেলা বসত । কালের আবর্তনে তাও বন্ধ হয়ে স্থানটি অচীন হয়ে যায়। ১৯৫৬ সালে উপজেলার ধলডাঙ্গার জনৈক প্রভাষক স্বপ্নযোগে জানতে পান উক্ত স্থানে একটি মসজিদ আছে এবং তা সংস্কার করে নিয়মিত নামাজ আদায়ের নির্দেশ পেলে তিনি উক্ত স্থানের বয়স্ক গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্বপ্নে নির্দেশিত স্থানে খোঁজ করে ২১ হাত লম্বা ১০ হাত চওড়া তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির সন্ধান। মসজিদটির উপরে প্রায় ২০০ হাত লম্বা একটি পাকুড় গাছ ছিল। পরে গাছটি কেটে সংস্কার করে স্থানীয় লোকজন নামাজ আদায় করা শুরু করে। মসজিদের পাশেই একটি ডাহা/ দরগা রয়েছে । অনেকে বলেন মীর জুমলার সঙ্গে আসা কোন ব্যক্তি মারা গেলে ঐ খানেই তাকে সমাহিত করা হয়। ঐ মসজিদে এক সঙ্গে ১৯/২০ জন মুষলীর বেশী নামাজ পড়া যেত না । এদিকে দিন দিন মসজিদটির ইট ধ্বসে পড়তে শুরু হলে এবং মুসল্লীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্দোগে ১৯৯৪ সালে মুল মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে ঐ স্থানেই মসজিদ নির্মান করে নামাজ আদায় করে আসছেন। বর্তমানে মসজিদটি অতি প্রাচীন জামে মসজিদ নামে খ্যাত। মসজিদ কমিটির সদস্য আজিজুল হক মুন্সী জানান এই অতি প্রাচীন মসজিদটিতে এ যাবৎ কোন সরকারী সাহায্য সহযোগীতা পান নাই। অথচ মুল মসজিদটি সংস্কার করা হলে বিশ্বের দরবারে এই ঐতিহাসিক মসজিদ হিসাবে ঠাই পেত। এখনও মসজিদের পাশের ডাহা/দরগা বলে খ্যাত মুল মসজিদের অংশ টুকু সংস্কার সহ সরকারীভাবে সংক্ষন করার মসজিদ কমিটি সরকারের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান হতে লোকজন মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন। এবং মসজিদের ধ্বংসাবশেষ দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস