অবস্থান
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের সোনাহাট সীমান্তেএ স্থল বন্দর অবস্থিত।
সংক্ষিপ্ত বর্ননা
ভারত, আসাম এবং নেপালের সঙ্গে স্থলপথে মালামাল আমদানী ও রপ্তানির সুবিধার্থে ভূরুঙ্গামারী জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ বন্দরটি চালু করা হয় ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে। এ বন্দর দিয়ে ভারত, আসাম ও নেপাল হতে কয়লা, কাঠ, টিম্বার, পাথর, সিমেন্ট, চায়না ক্লে, বল ক্লে, কোয়ার্টজ, রাসায়নিক সার, কসমেটিক সামগ্রী, পশু খাদ্য, বিভিন্ন ধরণের ফলমূল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, গম, বিভিন্ন ধরণের বীজ, তামাক ডাটা প্রভৃতি মালামাল আমদানী করা হয়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় ইলিশ মাছ, মেলামাইনের তৈরী বাসনপত্র এবং ঔষধ সহ কতিপয় মালামাল।
সোনাহাট স্থলবন্দরটি ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর উদ্বোধন হয়। পণ্য আমদানি চালু হয় ২৮ এপ্রিল ২০১৪ খ্রিঃ । গত এক বছরে সরকারী রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা নদীর তীরবর্তী হওয়ার কারণে ব্রিটিশ আমলে সোনাহাট স্থল বন্দরটি বিখ্যাত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ছিল। সোনাহাট স্থল বন্ধরটি ভারতের আসাম এবং পশ্চিম বঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত যা ভারতের সেভেন সিষ্টার বলে খ্যাত অঙ্গ রাজ্যের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে। পূর্বে ভারতের সাথে রেল যোগাযোগ ছিল পূর্বে উভয় দেশের লোকজনের অবাধ যাতায়ত ছিল। এই কারনেই উভয় দেশের লোকজনের ইচ্ছা এবং ভৌগলিক কারনে সোনাহাট স্থল বন্দরটি চালু হয়। উভয় দেশের মানুষের প্রত্যাশা অবাধ যাতায়তের জন্য । ভারতে ইতিমধ্যেই ইমিগ্রেশনের কাজটি বেশ অগ্রসর হয়েছে বলে জানা যায়।এই বন্দর দিয়ে ভারতে সরাসরি যাতায়তের জন্য ইমিগ্রেশনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইমিগ্রেশনটি চালু হওয়ার জন্য সরকারীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন এই স্থল বন্দরে ভারতের গোলকগঞ্জ হতে গড়ে ৮০-১০০টি ট্রাক পাথর এবং কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ভারতে এই বন্দরকে ঘিরে অবকাঠামোগত কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে ১০টি পণ্য আমদানীর জন্য অনুমতি রয়েছে এবং নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিরেকে বাংলাদেশী সকল পণ্য রপ্তানির অনুমতি রয়েছে। সেগুলো হচ্ছেঃ
১। পাথর, ২। কয়লা, ৩। তাজা ফল, ৪। ভূট্টা, ৫। গম, ৬। চাল, ৭। ডাল, ৮। আদা,
৯। পিয়াঁজ ১০। এবং রসুন। কিন্তু আমরা এখনো স্থায়ীভাবে পণ্য খালাশের জন্য ওয়ারহাউস এবং কাষ্টমস হাউস নির্মান করতে পারিনি। আপাততভাবে কাষ্টমস হাউস ভাড়া অফিস নিয়ে চালানো হচ্ছে। জনগনের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ভাবে ভূমি ভাড়া নিয়ে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। একারনে উক্ত স্থল বন্দরে পণ্য খালাসের সময় ট্রাফিকজ্যাম হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণসহ কাষ্টমস এবং ওয়ারহাউস নির্মানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে জানা যায়। এতে সমস্যা থাকা সত্বেও জনসার্থে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা হতে সোনাহাট স্থল বন্দরে দুরত্ব ১২কিলোমিটার। এই দুরুত্বের মাঝ খানে ৪৫০মিটার লম্বা একটি লোহার তৈরি রেলওয়ে ব্রিজ অবস্থিত। ব্রীজটি ১৮৮৭ সালে তৈরি হয়েছিল। ব্রীজটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রীজ দিয়েই প্রতিদিন গড়ে ৮০-১০০টি মালবাহী ট্রাক কয়লা এবং পাথর নিয়ে পার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করছে। ব্রীজটি দূর্বল হওয়ার করণে যে কোন মূহুর্তে বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য তার পার্শ্বে আলাদা একটি সড়ক সেতু তৈরী করা প্রয়োজন।
কিভাবে যাওয়া যায়:
বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে কুড়িগ্রামে এসে অথবা ঢাকা টু ভুরুঙ্গামারী গামী ডে ও নাইট কোচে ভুরুঙ্গামারীতে নেমে মাত্র ২০ টাকা অটোরিক্সা ভাড়ায় সোনাহাট স্থল বন্দর যেতে পারেন। থাকার জন্য ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদরে ভালমানের নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা সহ অনেক আবাসিক হোটেল আছে । এছাড়া আপনি ডাকবাংলোতেও রাত্রি যাপন করতে পারেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস